রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর, রংপুরে বদরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক আদিবাসী বসতবাড়িতে ঢুকে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ৮ মে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়ন খোদ্দবাগবাড় মিশন পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গোলজার রাউৎ থানায় ৬ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ঐ যুবদল নেতার নাম জোবায়দুল। তিনি রামনাথপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গোলজার রাউৎ ছেলে অর্জুন রাউৎ বিদ্যালয় ছুটি শেষে আসার পথে একটি লিচু গাছে উঠে। এসময় বিবাদী জোবায়দুল ছেলে কুদ্দুসও লিচু গাছে উঠে। অসাবধনতার বশতে কুদ্দুস লিচু গাছ থেকে পড়ে যায়। এতে চোখের নিচে জখম হয়। কুদ্দুস ও অর্জুন রাউৎ একই বিদ্যালয়ে পড়ে। ছেলে লিচু গাছ থেকে পড়ে যাওয়ার খবর শুনে জোবায়দুল ও তার পরিবারের লোকজন দৌড়ে ঘটনাস্থলে যায় পরবর্তীতে অর্জুন রাউৎ কে দোষারোপ করে বলে তুই আমার ছেলেকে গাছ থেকে ফেলে দিয়েছিস।একথা বলে অর্জনুকে মারধর করে।
লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, জোবায়দুল তার লোকজনকে নিয়ে আদিবাসী গোলজার রাউৎ বসতবাড়িতে ঢুকে আলমারী, টিভিসহ ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর ও তছনছ করে চলে যায়। যাওয়ার সময় পরিবারকে অশালীন ভাষায় হুমকি দেওয়ার ও অভিযোগ উঠে।
এবিষয়ে গোলজার রাউৎ স্ত্রী ভারতী রানী সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, জোবায়দুলসহ ৫ থেকে ৬ জন আমার বাড়িতে ঢুকে ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর চালায়।পরে গরু বিক্রির টাকা ও একজোড়া স্বর্নের দুল তারা নিয়ে যায়।
প্রতিবেশি কয়েকজন বলেন, এর আগেও আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়ছিল ওরা। কোন বিচার পায়নি। আমরা আদিবাসী বলে আমরা মানুষ নয়। জোবায়দুল বিএনপি করে বলে সবসময় আমাদের ভয় দেখায়।
ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে নাঈম নামে এক যুবক বলেন, জোবায়দুল ও তার পরিবারের লোকজন কেউ যায়নি আদিবাসী বাড়িতে। এটা ওরা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে জোবায়দুল ইসলাম বলেন, গোলজার রাউৎ বাড়িতে আমরা কেউ যায়নি।কোন টাকাপয়সা তাদের নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
বদরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনির বলেন, জোবায়দুল রামনাথপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান মিললে সাংগাঠনিক ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
বদরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত নুরুল আমিন সরকার বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।